ঢাকা: গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি (Ganges Water Sharing Agreement) নিয়ে হোক, এমনটাই চাইছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। হাসিনা (Hasina) সম্পর্কের পতনের পর ভারত -বাংলাদেশের (India-Bangladesh) মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের উপর একের পর এক চাপ তৈরি করে চলেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার সবশেষ স্ফুলিঙ্গ ছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতারের ঘটনা।
অতীতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস একটি প্রভাবশালী বৈশ্বিক হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সVaঠনটির নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব কৃষ্ণ কনসায়নেস, যা ইসকন বা হরে কৃষ্ণ সোসাইটি নামেও পরিচিত। পাশাপাশি হিন্দু নিপীরণের মাত্রাও বেড়েছে পদ্মাপারে।
কিন্তু এবার সেই অশান্তির আবহে ১৯৮৬ সালের গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: চরমে বিদ্যুৎ সংকট, এসি-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইউনুস সরকার!
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া (HD Deve Gowda) এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। সেই চুক্তি ৩০ বছরের জল বন্টনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে। সেইসঙ্গে নদী হিসেবে বাংলাদেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তির নবীকরণ নিয়ে বাংলাদেশ চাইছে ভারত পাশে থাকুক। সার্কের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গেও নয়াদিল্লিতে পাশে পেতে চায় ঢাকা।
সম্প্রতি ওমানের (Oman) রাজধানী মাস্কটে (Muscat) বাংলাদেশের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar) । এই বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।গত রবিবার অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন আয়োজিত হয়। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর এবং তৌহিদ। তৌহিদ হোসেন দুই দেশের মধ্য়ে সম্পাদিত গঙ্গার জল বন্টনে চুক্তি ফের পুনর্নবীকরণের আলোচনা শুরুর উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনার জন্য় ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান।
এদিকে বৈঠকের পর ভারতের বিদেশমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বিমসটেক।
প্রসঙ্গত, গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মধ্য। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। গত বছরে হাসিনা সরকার গদিচ্যুত হওয়ার আগে, দিল্লি সফরে এসে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
‘ফরাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণের জন্য ‘যৌথ কারিগরি কমিটি’ তৈরি করা হয়। তবে এখন বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য তিক্ততা তৈরি হয়েছে, সেই আবহে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার ফের ভারত সরকারকে গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি নবীকরণ নিয়ে অনুরোধ জানাতে চায়।
দেখুন অন্য খবর: